Loading...
The Financial Express

রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নামতে পারে: আইএমএফ

| Updated: January 31, 2023 21:10:22


রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নামতে পারে: আইএমএফ

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ নাগাদ ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে আসবে বলে ধারণা করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। 

এ পরিমাণ অর্থ দিয়ে বাংলাদেশের সাড়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। একটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকলে পরিস্থিতি স্বস্তিদায়ক বলে সাধারণভাবে মনে করা হয়।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে আইএমএফ। সে বিষয়ে এ ঋণদাতা সংস্থার দেওয়া বিবৃতিতেই রিজার্ভ নিয়ে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের। 

আইএমএফ বলছে, এ ঋণের সুবাদে দুর্বল হয়ে পড়া রিজার্ভের বিপরীতে বিদেশি মুদ্রার একটি ‘বাফার’ তৈরির সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। 

চলতি অর্থ বছর শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ বাড়িয়ে আবার ৩৭.৭০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যের কথা বাংলাদেশ সরকার এর আগে জানিয়েছিল।

তবে ওই পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন ডলার হতে পারে আভাস দিয়ে আইএমএফ বলছে, তাদের প্রাক্কলন ঠিক হলে এটাই হবে গত তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সবথেকে কম রিজার্ভ।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই ২০২০ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন প্রথমবারের মত ৪০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। ২০২১ সালের অগাস্টে তা রেকর্ড ৪৮ দশমিক ০৬ ডলারে পৌঁছায়।

করোনাভাইরাসের দাপট কমে এলে অর্থনীতির চাকা গতি পেতে শুরু করে। তাতে আমদানির চাপ বেড়ে যায়। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম এবং পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় আমদানি দায়ও বাড়তে থাকে।

কিন্তু আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির তুলনায় রপ্তানি ও রেমিটেন্স সেভাবে বাড়েনি। তাতে ডলারের মজুদে টান পড়ে, ভারসাম্য ঠিক রাখতে বাংলাদেশকে টাকার মান কমিয়ে আনতে হয়। রিজার্ভ কমতে কমতে এখন নেমে এসেছে ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।

আইএমএফ বলছে, চলতি অর্থবছরে রিজার্ভ কমে গেলেও পরের অর্থবছর তা বেড়ে ৩৪.২০ বিলিয়ন ডলার হতে পারে।

Share if you like

Filter By Topic