আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের সঙ্গে থাকে, সেই দলের নেতাকর্মীরা কখনও পালায় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “আজকে যারা বলে পালানোর সুযোগ পাবে না আওয়ামী লীগ। পালায় কে? আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই আওয়ামী লীগ কখনও পালায় না, পালায় আপনাদের নেতারাই।”
রোববার বিকালে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
এ সময় ১৯৭৫ পরবর্তী সময় এবং ২০০৭ সালের পর দেশে ফেরার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “বিরূপ পরিস্থিতিতেও আমি দেশে ফিরে এসেছিলাম শুধু দেশের মানুষের কথা ভেবে, দেশের মানুষের সেবা করার জন্য।”
এ সময় তিনি বিএনপি নেতাদের দুর্নীতির কথা তুলে ধরে বলেন, “তারা নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। কাকে নিয়ে? যে নাকি দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত, তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যে নাকি ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে স্ট্যাস্পে রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে ভেগে গিয়েছিল, পালিয়ে গিয়েছিল। সেই কথা কী আমাদের বিএনপি নেতাদের মনে নাই।”
“দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা-তারেক। এমনকি তারেক-কোকোর মাধ্যমে যে টাকা পাচার হয়েছিল তার মধ্যে ৪০ কোটি টাকা আমরা ফিরিয়ে এনেছি। এর জবাব কি তারা দিতে পারবে?”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগ কখনও পালায় না। আওয়ামী লীগ জনগণকে নিয়ে কাজ করে।”
বেলা ৩টার দিকে আওয়ামী লীগ সভাপতি সারদা পুলিশ একাডেমি থেকে হেলিকপ্টারে করে নগরীর জেলখানা প্রশিক্ষণ মাঠে নেমে গাড়িতে করে সভামঞ্চে আসেন। তখন ময়দান ভর্তি জনতা হাততালি ও গগনবিদারি স্লোগান দিয়ে তাকে স্বাগত জানায়। প্রধানমন্ত্রী হাত নেড়ে জনতার প্রতি শুভেচ্ছা জানান।
মাদ্রাসা মাঠে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর জন্য করা এক হাজার ৩১৭ কোটি টাকার ২৫টি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া ৩৭৬ কোটি টাকার আরও ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।