পুরান ঢাকার ওয়ারীতে এক যুবদল নেতার বৃদ্ধ বাবাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে।
মো. মিল্লাত হোসেন নামের সত্তরোর্ধ্ব ওই ব্যক্তি ওয়ারী থানা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ফয়সাল মাহবুব মিজুর বাবা। মিজুর অভিযোগ, স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী বুধবার রাতে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেছে তার বাবাকে।খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
তবে পুলিশ বলছে, হত্যার অভিযোগ সঠিক নয়। বাগবিতণ্ডার সময় স্ট্রোক করে পড়ে গিয়ে তিনি মাথায় আঘাত পান।
ফয়সাল মাহবুব মিজু বৃহস্পতিবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত থাকায় কয়েকদিন ধরে বাসার বাইরেই ছিলেন। বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রায় ষাট সত্তর জন নেতাকর্মী তাদের বাসায় তাকে খুঁজতে যান।
বাসার সবগুলো ঘর, রান্নাঘর, টয়লেট ওরা খুঁজে দেখে। আমাকে না পেয়ে ফিরে যাওয়ার সময় ওরা আমার ছোট চাচাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন বাবা বাধা দিলে পেছন থেকে ভারী কোনো কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করে, উনি মাটিতে পড়ে যান।
মিল্লাত হোসেনকে প্রথমে ন্যাশনাল হাসপাতালে এবং পরে আজগর আলী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মিজুর অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওয়ারী থানার ওসি কবির হোসেন হাওলাদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাতে কিছু লোক ওই বাসায় গিয়েছিল, তবে হত্যার অভিযোগ সঠিক নয়।
তার (মিল্লাত হোসেনের) বয়স সত্তরের উপরে, দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার সময় হয়ত স্ট্রোক করে তিনি পড়ে যান। পড়ে যাওয়ার কারণে তার মাথার পেছনের অংশ চেয়ারে বা দেয়ালে ধাক্কা লেগে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
মিজুর অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন বলেন, আমি তো এ বিষয়ে কিছুই জানি না। হবায় আপনার কাছে শুনলাম।
এরপর "কার বাবা কইলেন" বলে ওই যুবদল নেতার নাম জানতে চান আবুল হোসেন। নাম জানানোর পর বলেন, "আমি তো এমন কাউরে চিনিই না।"