জেল হত্যা দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবিতে স্পিকারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।
সোমবার বিকালে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও পদযাত্রা শেষে স্মারকলিপি পৌঁছে দেওয়া হয়।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর একান্ত সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
তিন দাবি হচ্ছে- ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার গঠনের দিনটিকে প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণা; ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা এবং জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনীসহ পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাসে অন্তর্ভূক্ত করা।
এদিন বিকেল ৩টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সংলগ্ন গোল চত্বরে (খেজুর বাগান) জড়ো হন মুক্তিযুদ্ধকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ এবং গাজীপুরের কাপাসিয়ার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সোহেল তাজ বলেন, মুক্তিযুদ্ধে সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণ ও তুলে ধরা নিশ্চিত করতে পারে বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যত- যা একটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে সংসদে উপস্থাপনের জন্যই আমরা স্মারলিপি দিচ্ছি।
জমায়েত শেষে সংসদ ভবন অভিমুখে পদযাত্রা এবং স্পিকারের কাছে স্মারকলিপি দিতে শ দুয়েক নেতাকর্মী নিয়ে দক্ষিণ প্লাজার সামনে ১২ নম্বর গেইটে এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় সোহেল তাজ একাই স্পিকারের দপ্তরে যান।
এর আগে রাজনীতিতে ফিরে আসার গুঞ্জনের মধ্যে গত ২৫ অগাস্ট শতাধিক সমর্থক নিয়ে তিনি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে হাজির হয়েছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং সৈয়দ জোহরা তাজউদ্দীনের ছেলে সোহেল তাজ ২০০১ সালে প্রথম নির্বাচনে অংশ নিয়েই সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। পরে ২০০৮ সালে ভোটের পর সরকার গঠনের সময় তাকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী করেন শেখ হাসিনা।
তবে পাঁচ মাস পরই পদত্যাগ করেন সোহেল তাজ। ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। তারপর রাজনীতি থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তিনি। তার সংসদীয় আসনে (গাজীপুর-৪) এখন সংসদ সদস্য তারই বোন সিমিন হোসেন রিমি।