ঢাকা ওয়াসার পানিতে আর কোনো ভর্তুকি না দেওয়ার কথা বলেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
রাজধানীর বেশিরভাগ বাসিন্দাকে বিত্তবান হিসেবে বর্ণনা করে শুক্রবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, গরিব মানুষের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় করে সেই টাকা দিয়ে ধনীদের ভর্তুকি দেওয়া নৈতিকভাবে কতটা সমর্থনযোগ্য?
রাজধানীতে অঞ্চলভিত্তিক পানির দাম নির্ধারণ করা হবে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, গুলশান-বনানীতে বসবাসকারী যে হারে পানির বিল দেন, বস্তিতে থাকা অথবা যাত্রাবাড়ীতে থাকা মানুষ কেন সমান পানির মূল্য পরিশোধ করবে? খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
গুলশান-বনানীর অভিজাত এলাকায় পানির দাম বেশি থাকবে। নিম্ন আয়ের মানুষ বসবাসরত এলাকায় পানির দাম অপেক্ষাকৃত কম থাকবে।
সিটি রিপোর্টার্স ফোরাম নামে একটি সংগঠনের আয়োজনে রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) মিলনায়তনে নগর সাংবাদিকতায় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে পানিতে ভর্তুকি দেওয়া হবে না। শুধু পানি নয় হোল্ডিং ট্যাক্স, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ইউটিলিটিক্যাল সার্ভিসের মূল্য জোনভিত্তিক নির্ধারিত হওয়া উচিত।
অনেক পরিশ্রম করেডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান বা ড্যাপ গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে জানিয়ে এর বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা চান স্থানীয় তিনি।
গত জুলাইয়ে ঢাকা ওয়াসা পানির দাম পাঁচ শতাংশ বাড়িয়েছে, যা কার্যকর হয়েছে ১ সেপ্টেম্বর থেকে। সে হিসাবে প্রতি এক হাজার লিটার পানির দাম ৭৬ পয়সা বেড়ে হয়েছে ১৫ টাকা ৯৪ পয়সা। আর বাণিজ্যিক সংযোগে দাম ৪৪ টাকা ২০ পয়সা।
এর আগে গত বছরের ২৫ মে পানির দাম ৫ শতাংশ বাড়ায় ঢাকা ওয়াসা। সে অনুযায়ী বর্তমানে আবাসিক সংযোগে প্রতি ইউনিট (এক হাজার লিটার) পানির দাম পড়ছে ১৫ টাকা ১৮ পয়সা। বাণিজ্যিক সংযোগে এই দাম ৪২ টাকা।
২০২১ সালের এপ্রিলে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে, ২০১৮ সালের জুলাইতে, ২০১৭ সালের অগাস্টে পানির মূল্য সমন্বয়করে ওয়াসা।