জনগণকে চকচকে চাল বর্জন করে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন চাল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
চকচকে চালের কারণে মানুষের পুষ্টিহীনতা বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, চকচকে চাল না খেতে সচেতনতা বাড়াতে হবে। চকচকে চালকে না বলতে হবে।
চাল চকচকে করতে গিয়ে বছরে প্রায় ১৬/১৭ লাখ টন চাল কমে যাচ্ছে। আবার চাল হয়ে যায় পুষ্টিহীন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশে ফোর্টিফাইড চালের বাণিজ্যিক যাত্রা শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
সাধন চন্দ্র বলেন, পুষ্টিচাল যাতে সাধারণ মানুষ বাজার থেকে কিনতে পারে সেজন্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার জন্য বেসরকারিভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও চালকল মালিকদের উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন।
তাদের উদ্যোগ ও বিনিয়োগ ছাড়া পুষ্টিচাল ভোক্তা পর্যায়ে সহজলভ্য করা সম্ভব হবে না।
এসময় তিনি বেসরকারি চাল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও চালকল মালিকদের পুষ্টিচাল উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে উদ্যোগী হওয়ার এবং দাম ভোক্তার নাগালের মধ্যে রাখার আহ্বান জানান।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা থেকে শুরু করে আরও যে নীতিগুলো আছে তার সবগুলোতেই পুষ্টি নিশ্চিত করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
দেশের চাল থেকে আগে প্রয়োজনীয় ভিটামিন পাওয়া যেত। তখন মাছ-মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিলাম না। এখন কেন চালে অনুপুষ্টি মিশাতে হচ্ছে তা ভেবে দেখতে হবে।
পুষ্টি চালে আয়রন, জিংক, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-১, ফলিক এসিড যুক্ত করতে হয় বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এ চাল সহজলভ্য করতে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাঁচটি প্রতিষ্ঠান আপাতত বিপণন কেন্দ্র ও সুপারশপে সরববরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে তারা ঢাকার মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, কারওয়ান বাজার, অ্যাগোরা ও স্বপ্ন সুপারশপ, চালডাল ও মেট্রিক্স বাজার অনলাইন মার্কেটগুলোতে পরীক্ষামূলক বাজারজাত করেছে।
খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আতিউর রহমান আতিক, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন ও জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বাংলাদেশ- এর রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্কেলপেলি বক্তব্য দেন।