logo

চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে ভিড়ল ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ

এফই অনলাইন ডেস্ক | Monday, 16 January 2023


চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে প্রথমবারের মত বার্থিং হল ২০০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১০ মিটার ড্রাফটের একটি জাহাজের।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সোমবার দুপুরে বন্দরের সিসিটি-১ জেটিতে বেলুন উড়িয়ে এমভি কমন অ্যাটলাসের বার্থিংয়ের উদ্বোধন করেন।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো মোস্তফা কামাল, ব্রিটিশ রাষ্ট্র দূত রবার্ট ডিকসন, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মো. আরিফ এবং জরিপ সংস্থা এইচ আর ওয়েলিংটন ফোর্ডের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী এমভি কমন অ্যাটলাস ৩৬ হাজার মেট্রিক টন চিনি নিয়ে রোববার বিকেলে বন্দরের সিসিটি-১ জেটিতে আসে।

বেশি ড্রাফট এবং বড় দৈর্ঘ্যের জাহাজ জেটিতে ভেড়ার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানিকারকরা উপকৃত হবেন বলে আশা করছে সরকার।

এর আগে ৯ দশমিক ৫ মিটার ড্রফটের এবং ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে ভিড়ত। লন্ডনভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান বন্দর চ্যানেল নিয়ে সমীক্ষা চালানোর পর ১০ মিটার ড্রাফট এবং দুইশ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ জেটিতে ভিড়তে পারবে বলে সুপারিশ করে।

সর্বশেষ ২০১৪ সালে কর্তৃপক্ষ বন্দরে প্রবেশকারী জাহাজের ড্রাফট ও দৈর্ঘ্য বাড়িয়েছিল। এর আগে আরও কম ড্রাফটের জাহাজ জেটিতে ভিড়ত দেশের প্রধান এই সমুদ্র বন্দরে।

চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে ১৯টি জেটি রয়েছে। এর মধ্যে ১৭টিতে জাহাজ ভেড়ে।

বন্দর কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ২০০মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১০ মিটার ড্রাফটের প্রতিটি জাহাজে করে ২৬০০ থেকে ২৮০০ টিইইউ কন্টেইনার আনা যাবে। আগে যেসব জাহাজ আসত, সেগুলোতে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টিইইউ (২০ ফুট দৈর্র্ঘ্যের কন্টেইনার) পরিবহন করা হত।

বন্দর কর্মকর্তারা জানান, কর্ণফুলী নদী এবং বন্দর চ্যানেল নিয়ে সামগ্রিক একটি জরিপ ও গবেষণা কাজ করেছে লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এইচ আর ওয়েলিংপোর্ট। তাদের প্রতিবেদনে বন্দরে বেশি গভীরতা ও দৈর্ঘ্যের জাহাজ প্রবেশের সুযোগ থাকার বিষয়টি ছিল।

গত বছরের এপ্রিলে তাদের দেওয়া প্রাথমিক প্রতিবেদনে ১০ মিটারের বেশি ড্রাফট এবং দুইশ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ প্রবেশের বিষয়ে সুপাশি করা হয়। তখন থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষ বড় জাহাজ ভেড়ানো নিয়ে কাজ শুরু করে। 

এতদিন বড় জাহাজ (বেশি ড্রাফটের) বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে অবস্থান করত এবং সেখানে লাইটারেজ জাহাজে পণ্য খালাস করে ড্রাফট কমিয়ে বন্দরের জেটিতে আসত।